Home»   » হায়দ্রাবাদে ‘ইয়াসোদা’ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় বাংলাাদেশী গৃহবধূর মৃত্যু তদন্তের দাবি

হায়দ্রাবাদে ‘ইয়াসোদা’ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় বাংলাাদেশী গৃহবধূর মৃত্যু তদন্তের দাবি

ঢাকা: ভারতের হায়দারাবাদ ‘ইয়াসোদা’ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা বাংলাদেশী গৃহবধূ ফারহানা আক্তার ওরফে ডিনার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দায়ীদের বিচারের দাবি করেছেন তার স্বামী ও সন্তানেরা।

শনিবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেন নিহতের স্বামী আল আমিন আল মামুন এ দাবি জানান, সংবাদ সম্মেলনে তার দুই মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্ত্রীর বাম কাঁদের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। দেশের বড় বড় অর্থোপেডিক্স চিকিৎসদের দেখানোর পরও তার ব্যাথা নিরাময় করতে পারেনি। অবশেষে ভারতের ‘ইয়াসোদা’ হাসপাতালের একজন নিউরোলজি ডাক্তার এর এপায়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়।

পরে গত ২০ জুলাই তাকে নিয়ে হায়দারাবাদ গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি অণ্র একজন অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ এর কাছে রেফার্ড করেন। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে অপারেশনের পরামর্শ দেন। পরীক্ষায় মোট ৭০ হাজার রুপি খরচ হয়। তাকে ধরাপড়ে তার বাম কাধের জয়েন্ট এর হাড় বেড় গেছে। এজন্যই হাত উচু করতে পারছেন না। অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. সুনিল তার স্ত্রীর সাজারি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তার স্ত্রী এন্টিবায়োজিকে এলার্জি থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু তার সেই কথার কর্নপাত না করেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর গত ২৮ জুলাই বেলা ১২ টার দিকে অপরারেশনের জন্য ভর্তি করানো হয়্ সাড়ে ১২ টার দিকে প্রি অপারেশনের জন্য রুমে নেন। এরপর তাকে জানানো হয়, এনস্থিসিয়া পুশ করার পর তা রিয়েক্ট করেছে। তবে তিন চার ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। তার তিন থেকে চার ঘন্টা পর আইসিইউতে গিয়ে দেখতে পাই আমার স্ত্রী শরীর বরফের মত ঠান্ডা হয়ে আছে এবং অচেতন। এসময় তাকে জানানো তার স্ত্রীর ব্রেইন ৯৫ শতাংশ ডেড হয়ে আছে। এসময় হাউ মাউ করে কান্নাকাটি করলে তারা বলেন আপনার স্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠবেন।

এরপর গত ২৯, ৩০ ও ৩১ জুলাই পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষায় রাখা হয় যে তিনি সুস্থ হবেন। কিন্তু তিনি সুস্থ না হলে গত ৩১ তারিখে লিগ্যাল অ্যাকশন যাওয়ার পরিকল্পনা করি। গত ১ আগস্ট ভোর ৫ টার দিকে আমাকে আইসিইউ এর ভেতরে ডাকা হয়। সেখানে গিয়ে দেকি ৩জন সিস্টার আমার স্ত্রীর হার্টের অপনবরত পান্স করছেন। এরপর ৫টা ৫৫ মিনিটের সময় তিনি মারা যান। এরপর গত ২ আগস্ট তার লাশ নিয়ে দেশে আসি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার ডিনাকে ভুল চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে। তিনি এজন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মস্ত্রী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয হাইকমিশনারের মাধ্যমে সুস্থ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।