Home»   » ভয়ংকর প্রতারণা: জাল কাগজপত্রে ভূয়া নারী-নির্যাতন মামলা

ভয়ংকর প্রতারণা: জাল কাগজপত্রে ভূয়া নারী-নির্যাতন মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবধান! আপনার আশেপাশেই আছে ভয়ঙ্কর প্রতারক চক্র! বিয়ে এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে বিরাট অঙ্কের টাকা নিয়ে নেয়াই এদের কাজ। এরা অতি উচ্চশিক্ষিত। সমাজের উচু স্তরে এদের চলাফেরা। প্রতারনার মাধ্যমে উপার্জিত কোটি কোটি টাকায় চলে এদের বিলাসী জীবন। কারো কারো আবার বিদেশী নাগরিকত্ব আছে। সরকার-বিরোধী রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ফেসবুকে লিখে এরা নিজেরদের প্রগতিশীল হিসেবে পরিচয় দেয়। এমন-ই একজন হলেন সাধনা মহল ওরফে কুলসুম আসাদী মহল সাধনা।

সাধনা মহলের বয়স ৫৪ বছর। এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিয়ে করেছেন চারটা। অনানুষ্ঠানিক বিয়ে আরো চার-পাচটা। ভয় দেখিয়ে অথবা মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করে এসব বিয়ে থেকে উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। সাধনা ১৯৯১ সালে অতি অল্প বয়সে প্রথম বিয়ে করেন ২০২৩ সালে অবসরে যাওয়া একজন শীর্ষ আমলাকে যিনি এখন সরকারী দলে সক্রিয়।

১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নুরুল মোমেন ভুইয়াকে। কয়েক বছরের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙ্গে যায় সাধনার বেপরোয়া পরকীয়ার কারণে। কিন্তু তিনি-ই উল্টো মামলা দেন নুরুল মোমেনের নামে। ১০ লক্ষ টাকায় নুরুল মোমেন ভুইয়া আপোষ করতে বাধ্য হন।

এরপর ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে সাধনা মহল দুটি অনানুষ্ঠানিক বিয়ে করেন এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওইসব বিয়ের ডিভোর্স করেন। ২০১০ সালে বিয়ে করেন প্রাক্তন আর্মি অফিসার জাকির আহমেদ জাকির কে। সাধনার পরকীয়া সম্পর্কের কারণে অশান্তি সৃস্টি হলে ২০১৩ সালে তিনি নারি-নির্যাতনের মামলা দিয়ে জাকির কে জেলে পাঠান। ৩০ লক্ষ টাকায় আপোষ করে জাকির রেহাই পান।

২০১৬-২০১৭ সালে সাধনা দুইজন ব্যাবসায়ীকে বিয়ে করে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। ২০১৮ সালে ঈঞ্জিনিয়ার রশিদ নামে এক ব্যাবসায়ীকে বিয়ে করে সাজানো নারী-নির্যাতন মামলা দিয়ে হাতিয়ে নেন ৬০ লক্ষ টাকা।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আবার বিয়ে করেন একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে। দু’জন ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় তিনি সাধনাকে বিয়ে করার জন্য নিজের ধর্মও পরিবর্তন করেন এবং ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে সাধনা মহল গোবিন্দ বরকে জানান যে তার পূর্বে একটি বিয়ে হয়েছিল কিন্তু সাধনা এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিয়ে করেছেন চারটা। অনানুষ্ঠানিক বিয়ে আরো চার-পাচটা বলে জানা যায়।

বিয়ের এক মাসের মধ্যেই সাধনা মহল তার নতুন স্বামীর কাছে বিয়ে টিকিয়ে রাখতে হলে র নিরাপত্তা” হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকার দাবী তোলেন। সাধনা তার বন্ধুদের বলতে থাকেন যে তিনি এমন একজনকে বিয়ে করেছেন যার কোন টাকা নেই যদিও তিনি ভেবেছিলেন যে দীর্ঘদিন উচ্চপদে চাকুরী করে গোবিন্দ বর অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। বিয়ের প্রায় দেড় মাস পরে, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর, সাধনা তার সাথে বিবাহ টিকিয়ে রাখতে হলে ৮০ লাখ টাকা দাবী করে, এবং টাকা না দিলে ডিভোর্স করার হুমকি দেয়। ৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখেও সে ডিভোর্সের হুমকি দেয়। বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে টাকা চাওয়া যৌতুক আইনে অপরাধ একথা জানালে সাধনা ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে মারধর করার হুমকি দিতে থাকে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে সাধনা ডিভোর্সের হুমকি দিয়ে ও চাপ প্রয়োগ করে একটি যৌথ ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা রাখতে গোবিন্দ বরকে বাধ্য করে। এছাড়াও সে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এবং নগদে আরো ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয় ।

সূত্র জানায়, সাধনা মহল ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ তার দেশ ফিনল্যান্ডে চলে যায়। প্রায় এক্ মাস পরে, ২৩ ফেব্রুয়ারী ফিনল্যান্ড স্বাস্থ্য কতৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সে ফোনে ও হোয়াটসায়াপ মেসেজের মাধ্যমে গোবিন্দ বরকে জানায় যে তার যৌনরোগ গনরিয়া ধরা পড়েছে । ফিনল্যান্ডের হাস্পাতালে করা এ সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্টও সে পাঠায়। এই রোগ কিভাবে হল জিগ্যেস করলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। গুগলের মাধ্যমে গোবিন্দ বর জানতে পারেন যে কোন ব্যাক্তি গনরিয়া রোগে সংক্রমিত হলে অনধিক ১৪ দিনের মধ্যে রোগ-লক্ষণ প্রকাশ পায়। তিনি সাধনাকে জিজ্ঞাসা করেন যে গত ১৪/১৫ দিনে সে কী করেছে যে তার এই রোগ হতে পারে? এতে সাধনা ক্ষিপ্ত হয়ে গোবিন্দ বরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, এবং শারীরিক আক্রমনের হুমকি দেয়।

’মাত্র সাত মাসের বিবাহিত জীবনে (১৩ অক্টোবর ২০২২ – ১৪ মে ২০২৩) সাধনা তিন মাসেরও বেশি সময় দেশের বাইরে ছিল। এই অল্প সময়ের বিবাহিত জীবনে সাধনা মহলকে গোবিন্দ বর সাধনার ইচ্ছা অনুযায়ী ভারতের রিশিকেশ, হরিদ্বার, ডুয়ার্স/ লাটাগুরি, কলকাতা, দিল্লী, দার্জিলিং, সিলেট, চাঁদপুর সহ বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যান। কলকাতায় বেলভিউ হাসপাতালে তার স্লিপ এপ্নিয়ার (ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া) চিকিৎসা করান এবং এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে স্লিপ এপ্নিয়ার একটি মেশিন কিনে দেন। এছাড়াও ৭০ হাজার রুপি দামের একটি হারমোনিয়ামও কিনে দেন।’

জানা যায়, রাজনৈতিক দলের কাজের কথা বলে সাধনা মহল দিনে রাতে যে কোন সময় বাসা থেকে চলে যেত এবং কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করলে এই বিষয়ে জবাব দিতে সে বাধ্য নয় বলে রূঢ় ভাবে জবাব দিত। তাছাড়া বিভিন্ন অভিজাত ক্লাব-এ মদপান করা, এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার নাম করে সে প্রায়ই নিরুদ্দেশ হয়ে যেত, এবং এই সময় ফোন করলে সে ফোন ধরত না। বিবাহিত হলেও সাধনা প্রায়-ই গোবিন্দ বরের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন বন্ধুকে বাসায় নিয়ে এসে সময় কাটাত। এসময়ে সে বাসার খন্ডকালীন গৃহকর্মীকে ছুটি দিয়ে দিত। বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাসায় নিয়ে এসে তাদের সাথে সাধনার একান্তে সময় কাটানোর কথা গোবিন্দ বর ২০২৩ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে জানতে পারেন। গোবিন্দ বর সাধনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সাধনা গোবিন্দ বরকে খুনের হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এ প্রেক্ষিতে বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে গোবিন্দ বর দেখতে পান যে ১৬ মে রাত পৌনে নয়টার দিকে সাধনা এক ব্যক্তিকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করছেন। উল্লেখ্য, গোবিন্দ বর ঐ দিন বাসায় ছিলেন না। সব কিছু জেনেও গোবিন্দ বর সাধনাকে তার উদ্দাম (লিবার্তারিয়ান) জীবনযাপন বন্ধ করতে বললে সাধনা এর মাধ্যমে তার ব্যাক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভি্যোগ করেন এবং গোবিন্দ বরকে খুনের হুমকি দেন।’

৫-ই মার্চ ২০২৩ একটি হোয়াটসায়াপ মেসেজের মাধ্যমে সাধনা তার একজন বন্ধু কে অনুরোধ করে যেন সে সাধনাকে তার অফিস রাত এগারটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত “ব্যাক্তিগত কাজে” ব্যবহার করতে দেয়। সাধনা ঐ বন্ধুকে আরো অনুরোধ করে যেন সে এই পরিকল্পনা ও ঘটনার কথা তার স্বামী গোবিন্দ বরকে না জানায় । এই ঘটনা সাধনার অবাধ-উদ্দাম জীবনের একটি নগন্য উদাহরন মাত্র।

২২ এপ্রিল ২০২৩ (ঈদের দিন) সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় সাধনা মহল গোবিন্দ বরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। গোবিন্দ বর প্রতিবাদ করলে সাধনা মহল তার একজন প্রাক্তন স্বামী এবং বাইরের লোকজন ডেকে গোবিন্দ বর কে মারধর করার হুমকি দেন। শারিরীক আক্রমন এবং মারধরের আশঙ্কায় গোবিন্দ বর বাসা থেকে বেরিয়ে একজন বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নেন। গোবিন্দ বর বাসায় ফিরে আসলে সাধনা মহল তার কোন ক্ষতি করবেনা এই প্রতিশ্রুতি দিলে গোবিন্দ বর ২৪ এপ্রিল ২০২৩ বাসায় ফিরে আসেন।

১৩ মে ২০২৩ দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সাধনা মহল গোবিন্দ বর কে বলেন যে তার সাথে সংসার করতে হলে গোবিন্দ বর তার কোন আত্মীয়-বন্ধুর সাথে যোগাযোগ রাখবেন না এই মর্মে মুচলেকা দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাধনা মহল রাত তিন টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন করেন এবং তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়ার আভিযোগ করে পুলিশ পাঠাতে বলেন। ৯৯৯ থেকে বলা হয় যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার ক্ষেত্রে তারা পুলিশ পাঠান না। পুলিশ না আসায় গোবিন্দ বর নিরাপত্তাহীন বোধ করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে নিকটবর্তী একটি গেষ্ট হাউসে আশ্রয় নেন।

১৪ মে ২০২৩ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাধনা মহল গুলশান থানায় গিয়ে তাকে মারধর করার অভি্যোগ করে নারী-নির্যাতন মামলা দায়ের করার অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ায় পুলিশ মামলা নেয়নি। ১৫ মে সাধনা মহল ৮/১০ জন বহিরাগত যুবক কে নিয়ে গোবিন্দ বরের তৎকালীন নিকেতনের বাসায় মিটিং করে যেখানে পাওয়া যায় সেখানে গোবিন্দ বর কে আক্রমন করার অনুরোধ করেন। ক্রমাগত হুমকির এক পর্যায়ে ১৮ মে সাধনা মহল টেলিফোনে গোবিন্দ বর কে খুন ও হাত-পা কেটে নেয়ার হুমকি দেয়- ফোনে খুনের হুমকির ট্রান্সক্রিপ্ট)। উল্লেখ্য, ১৩ মে দিবাগত রাত সাড়ে তিন টার দিকে গোবিন্দ বর তার বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে ১৮ মে সাধনা মহল বিদেশে যাওয়া পর্যন্ত গোবিন্দ বর নিজের বাসায় ফিরে যান নি।

১৮ মে ২০২৩ সাধনা মহল তার দেশ ফিনল্যান্ডে চলে যাবার পরে ২২ মে গোবিন্দ বর তার অফিসে একটি লিগ্যাল নোটিশ পান যেখানে তাকে মারধরের মিথ্যা আভিযোগ করে বিষয়টি “মিটমাট” করার কথা বলা হয়। উল্লেখ্য, ব্যাক্তিগত লিগ্যাল নোটিশটি সাধনা মহল গোবিন্দ বরের অফিসের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সহকর্মীকে পাঠিয়ে মানহানি করেন এবং নিজের স্বামীর চাকুরির ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।

৫ জুন ২০২৩ সাধনা মহল বিদেশ থেকে ফিরে বাসার চাবি হারিয়ে ফেলার কারণে গোবিন্দ বরের অনুপস্থিতিতে তার বাসার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং একলা বসবাস করতে থাকেন। হঠাত লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে একটি আইনগত অবস্থা সৃস্টি করায় এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে গোবিন্দ বর ঐ বাসায় আর ফিরে যান নি এবং গৃহহীন অবস্থায় বিভিন্ন বন্ধুর বাসায় অবস্থান করতে থাকেন।

ইতোমধ্যে গোবিন্দ বর জানতে পারেন যে সাধনা মহল গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে ভূয়া নারী নির্যাতন মামলা, এবং যৌতুক ও খোরপোশের মামলা সহ কমপক্ষে ছয়টি মিথ্যা মামলা করেছেঃ CR-2173/23 (Dowry case); Paribarik-723/23 (Maintenance case); Nari o Shishu (assault case) -178/23 (P.M. No.- 120/23); CR-714/23 under PC-495/506; 188/2023 – 107/117 (C)।
২৬ জুন ২০২৩ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দায়েরকৃত ১২০/২০২৩ নম্বর মামলায় সাধনা মহল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নামে ভূয়া ও জাল মেডিক্যাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করেছে যা আইনত গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মাননীয় আদালত জাল মেডিক্যাল ডকুমেন্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে যাচাই করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছেন যে মামলায় উল্লিখিত চিকিতসার কথিত দিনে (১৪ মে ২০২৪) সাধনা মহল নামের কেউ চিকিৎসা নেয়নি (সংযুক্তি ৭)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঐ দিনের চিকিৎসা গ্রহনকারিদের রেজিস্টার খাতার ৪১ পাতা ফটোকপিও আদালতে পাঠিয়েছেন। এই মামলার প্রেক্ষিতে সাধনা মহল বিভিন্ন কৌশলে গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করালেও সকল তথ্য-প্রমান যাচাই করে আদালত তাকে সরাসরি জামিন মঞ্জুর করেন যদিও নারী-শিশু মামলায় সরাসরি জামিন দেয়া বিরল ঘটনা।

৫ জুলাই ২০২৩ ভোরে সাধনা মহল হঠাত গোবিন্দ বরের বাসার সব মাল্ পত্র নিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। বিষয়টি গুলশান থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে, সাক্ষীদের সাথে কথা বলে এবং বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ৩৮০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে (গুলশান থানা কেস নংঃ ৯, জুলাই ৮, ২০২৩)। ২২ জুলাই ২০২৩ পুলিশ ঐ মামলায় সাধনাকে গ্রেফতার করে এবং সে ২৩ জুলাই সে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে গোবিন্দ বর কে মিথ্যা মামলায় ফাসানো ও ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে মারধরের হুমকি দিতে থাকে। এইসব হুমকির প্রেক্ষিতে গোবিন্দ বর বিভিন্ন সময়ে গুলশান থানায় সাধারন ডাইরি করেন।
২৭ মে ২০২৩ এক ব্যাক্তি গোবিন্দ বরকে ফোন করে “সাধনার সাথে ঝামেলা” মিটিয়ে দেয়ার জন্য ৮০ লক্ষ টাকা দাবী করেন। এ প্রেক্ষিতে গোবিন্দ বর থানায় একটি জিডি করেন। এর আগে সাধনা নিজে ২ এপ্রিল এবং ২৫ এপ্রিল তার বন্ধুদের সামনে গোবিন্দ বরের সাথে বিয়ে টিকিয়ে রাখার শর্তে ৮০ লক্ষ টাকা দাবী করেন। এছাড়াও, সাধনা মহল তার উকিলের মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার ও আপোষের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা টাকা দাবী করেন যার অডিও রেকর্ড গোবিন্দ বরের কাছে আছে।
সাধনা মহল দাবী করছেন যে গোবিন্দ বর তাকে তার পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে বিয়ে করেছেন। এই দাবী সম্পূর্ন মিথ্যা ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। সাধনা গোবিন্দ বরকে চেনেন ২০১২ সাল থেকে এবং তাদের বিয়ে হয় ২০২২ সালে। এত দিনের পরিচিত ৫০ বছরের বেশি বয়সের একজন ব্যাক্তি নিজেকে অবিবাহিত বল্লেও সাধনা মেনে নিবেন একথা অবিশ্বাস্য। সাধনা তার নিজের দেয়া ২১ মে ২০২৩ তারিখের লিগ্যাল নোটিশে লিখেছেনঃ “একই অফিসে চাকুরি করার সুবাদে আপনার সহিত আমার মোয়াক্কেলের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে একে অপরের সহিত কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে আপনি আমার মোয়াক্কেল কে বিবাহের প্রস্তাব দিলে আমার মোয়াক্কেল খোজ খবর নিয়া জানিতে পারে যে আপনি বিবাহিত এবং আপনার একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান আছে”।
সাধনার নিজের উপরোক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে তার অসৎ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মিথ্যাচারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

সাধনা তার নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য গোবিন্দ বরের প্রথম স্ত্রীর মামলার দোহাই দিয়ে যাচ্ছেন। গোবিন্দ বরের প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে খোরপোশ এবং এক স্ত্রী থাকতে আরেকটি বিয়ে করার অভিযোগে মামলা করেছেন যা আদালতে গ্রহনীয় নয় কারন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করার ফলে প্রথম স্ত্রীর সাথে তার হিন্দু-ধর্মীয় বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে।

সাধনার নির্মম আচরণ, ঘন-ঘন মুড পরিবর্তন, আক্রমনাত্বক ব্যবহার ও নির্যাতন-মূলক আচরনের কারণে গোবিন্দ বর তাকে ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে পেশাদার ক্লিনিক্যাল মণোবিদ সাবিহা জাহানের কাছে চিকিতসার জন্য নিয়ে যান এবং ৭/৮ টি সেশন-এ তার ব্যাক্তিত্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলাপ করা হয়। কিন্তু সাধনার অসহযোগিতার কারণে তাতে কোন ফল হয়নি। সাধনার জীবন নাশের হুমকি, মানসিক নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, নির্মমতা, উশৃঙ্খল জীবন-যাপন, অতিরিক্ত মদপান, মানসিক অস্থিরতা, এবং অকথ্য গালিগালাজের কারণে গোবিন্দ বর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

সাধনা এখন গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে ফেসবুক এবং ইউটিউবে মিথ্যা, অসৎ, সাম্প্রদায়িক, মানহানিকর, ও উদ্দেশ্যমূলক নোংরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মিথ্যা মামলা করে, নারি কার্ড, ভিক্টিম কার্ড খেলে সাধনা নারী অধিকার আন্দোলন কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সাধনা মহল সঙ্ঘবদ্ধ এবং পরিকল্পিতভাবে বিয়ে নামক প্রতারণার ফাঁদে অনেক পরিবার ধ্বংস করেছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হলে প্রতারণার নানাচক্র বেরিয়ে আসতে পারে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোবিন্দ বর সাধনা মহলের বিরুদ্ধে আদালতে ডিভোর্সের মামলা করেছেন যা এখন বিচারাধীন আছে। বিচারাধীন বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে সাধনা মহল আইন ভঙ্গ করছেন এবং তার অসৎ উদ্দেশ্যের প্রমান দিচ্ছেন। মিথ্যা মামলা করে এবং মিথ্যা, অসৎ, সাম্প্রদায়িক, মানহানিকর, ও উদ্দেশ্যমূলক নোংরা প্রচার চালিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাধনা মহল অবৈধভাবে টাকা আদায় করতে চান যা তিনি পূর্বে তার বহু স্বামীর সাথে করেছেন। কিন্ত গোবিন্দ বর আইন বহির্ভূতভাবে কাউকে কোন টাকা না দিতে নৈতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। গোবিন্দ বর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু সাধনা মহল আদালতে মামলা করেছেন সেহেতু সকলের প্রত্যাশা আইনি প্রক্রিয়ায় সব সমস্যার সমাধান হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাধনা মহল সাংবাদিকদের বলেছেন, গোবিন্দ এক সময় ডেইলী স্টারের সাংবাদিক ছিল। সম্প্রতি আমি এই বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে সব বলেছি। তাছাড়া তার সাথে তো আমার এখনো সংসার আছে।

তাহলে ঝামেলা কি? আপনি আগেও ৪ টা বিয়ে করেছেন আগের স্বামীদের কাছ থেকে তালাক বাবদ মোটা অংকের টাকাও নিয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন লাস্ট স্বামীর (গোবিন্দ) সাথে ও আপনার একই সমস্যা। তাছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আপনি ডির্ভোসের টাকা দাবি করেছেন- কোনো স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে কি টাকার দাবি করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ’আমি কয়টা বিয়ে করবো সেটা আমার ব্যাপার। এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’

জাগো লাইভ/সুমি