Home»   » চুক্তির নামে দখল: নিজের জায়গা-ঘরবাড়িতে প্রবেশ করতে পারছেন না অনেক মানুষ

চুক্তির নামে দখল: নিজের জায়গা-ঘরবাড়িতে প্রবেশ করতে পারছেন না অনেক মানুষ

ঢাকা: নিজের জমি, নিজের বাড়িঘর অথচ প্রবেশের সামর্থ্য নেই। বছরের পর বছর ধরে নানাভাবে চেষ্টা করেও নিজ আবাসে যেতে পারছেন না ভবনমালিকরা। ভবন নির্মাণের একটি চুক্তির নামে দখলে নেয়া হয়েছে জমিসহ এসব ভবন। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ২ নম্বরের ৯৯ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ি নিয়ে অভিযোগ করছিলেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের পক্ষে আব্দুল বাতেন বলেন, এই ভবনটি ১৯৬৬ সালে রাজউক থেকে কিনে নেন গুলশানের বাসিন্দা তার শাশুড়ি মরহুমা হামিদা খাতুন। ২২ শতাংশের জমিটিতে শেষ সম্বল দিয়ে ছয়তলা ভবনও নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন ২০০৭ সালে। ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা লোন নিয়ে আর্থিক টানাপড়েনের পরও ভবন নির্মাণ শেষ হয় ২০১১ সালে। এরপরও আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করতে আস্থা রেখেছিলেন ইনডেক্স ডেপেলপার লিমিটেডের উপর। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার জাহিদুল ইসলাম খানের সাথে চুক্তি করা হয়।

হামিদা খাতুনের পরিবার দাবি করেন, চুক্তি অনুযায়ী ছয়তলা ভবনটির সামগ্রিক কাজ শেষ করতে আরো ৫ কোটি টাকা লাগবে বলে জানায় ইনডেক্সের জাহিদ। সে সময় হামিদা খাতুন এবং জাহিদ চুক্তি করে যে, এই খরচ জাহিদের প্রতিষ্ঠান ইনডেক্স ডেভেলপার বহন করবে। তবে এই ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আট বছর ভবনটিকে ভাড়া দিবে ইনডেক্স। সংগৃহীত ভাড়া থেকে প্রতি মাসে কেটে নেয়া হবে ৫ লাখ টাকা।

একই সাথে হামিদা খাতুনকে দেয়া হবে নগদ আরো সাড়ে তিন লাখ টাকা। তারা অভিযোগ করেন, চুক্তি হলেও একের পর এক তা লঙ্ঘন করেছে ইনডেক্স। মূল ভবন মালিককে ভাড়ার টাকা তো দেয়ই নাই বরং ভবনটি দখলে রেখেছে প্রায় চার বছর ধরে। এর প্রতিকার চাইতে গেলেই পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বাবার ক্ষমতা দেখিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে থানা, পুলিশ, আদালত গিয়েও প্রতিকার মিলছে না হামিদা খাতুনের পরিবারের। জানা গেছে, শুধু এটাই নয়, ইনডেক্স উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে এক নারী দুই কাঠার স্থানে সাত কাঠা জমি দখল করে রেখেছে। ১৪ নম্বর সেক্টরে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার জমি পাওয়ার নিয়ে দখলে রেখেছে।

এ ব্যাপারে জানতে ইনডেক্স ডেপেলপার লিমিটেডের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।