Home»   » জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি কাফি খানের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি কাফি খানের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

ঢাকা: প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি, খ্যাতিমান সাংবাদিক, অভিনেতা ও বেতার ব্যক্তিত্ব কাফি খান আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। কাফি খানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে তার সর্বশেষ কর্মস্থল ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) তিনি যুক্তরাষ্ট্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন কাফি খান।

কাফি খানের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের কাজীপাড়া গ্রামে। সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১ মে ১৯২৯। রেওয়াজ অনুযায়ী এক বছরের হিসাব নেই। অর্থাৎ আসল জন্মসাল ১৯২৮।

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বরত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।

আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মরহুম কাফি খান শহীদ জিয়াউর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ, দক্ষ ও আস্থাভাজন প্রেস সচিব ছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং দেশ ও জাতি গঠনের নবযাত্রায় গণমুখী প্রেসিডেন্সী গড়ে তুলতে শহীদ জিয়া বিচক্ষণ, দেশপ্রেমিক, দক্ষ ও পারদর্শী ব্যক্তিদের নিয়ে যে টিম গড়ে তুলেছিলেন কাফি খান ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর প্রেস সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালনেও তিনি তাঁর মেধা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধ ছিল সর্বজনস্বীকৃত। সর্বোপরি তিনি ছিলেন সৎ, সজ্জন ও বন্ধুবৎসল মানুষ।

শোক বার্তায় বলা হয়, বহু গুণে গুনান্বিত কাফি খানের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। একাধারে সাংবাদিকতা এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাফি খানের অবদান অনস্বীকার্য। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগে ভরাট কন্ঠ ও সাবলীল সংবাদ পাঠক হিসেবে তাঁর কৃতিত্বের জন্য তিনি সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবেও তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি তিনি যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান শোকবার্তায় মরহুম কাফি খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, ভক্ত, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক শোকবার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মরহুম কাফি খান ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। একদিকে সাংবাদিকতা, অন্যদিকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সবখানেই তাঁর অসামান্য প্রতিভা তাঁকে এক স্বতন্ত্র মাত্রা দান করেছিল। বিচক্ষণতা ও সফলতার সাথে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারীর গুরু দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জিয়াউর রহমানের সাথে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিবিড় যোগাযোগ ও সেতুবন্ধন রচনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। শুধু গণমাধ্যম নয়, দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে সেসময় তিনি নেপথ্যচারীর ভূমিকাও পালন করেছিলেন। দেশ, রাজনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চিন্তা, চেতনা, নীতি ও আদর্শ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সাবলীল ভাষায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুলে ধরতে নেপথ্যে কাজ করেছেন।

‘তিনি শহীদ জিয়ার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন এবং শহীদ জিয়া তাঁর ওপর আস্থা রাখতেন। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান কাফি খান শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর প্রেস সচিব হিসেবে যে দক্ষতা ও প্রাজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন তা অতুলনীয়। তাঁর মৃত্যুতে জাতি সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্রকে হারালো। সাংবাদিক কাফি খানের মৃত্যুতে দেশবাসী ও তাঁর পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে মর্মাহত। আমি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, স্বতীর্থ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’