Home»   » শেখ পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে সত্য গোপন করে অন্যায়ভাবে ওয়ারিশান সম্পত্তি দখলের পায়তারায় রোকনুজ্জামান গ্যাং

শেখ পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে সত্য গোপন করে অন্যায়ভাবে ওয়ারিশান সম্পত্তি দখলের পায়তারায় রোকনুজ্জামান গ্যাং

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

কালিহাতী থানার উত্তর চামুরিয়া গ্রাম নিবাসী মরহুম বছীর উদ্দিনের কনিষ্ঠ পুত্র মোঃ আব্দুল করিম এবং তার ছেলে রোকনুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম, পদবী, ক্ষমতা এবং অফিসিয়াল ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শন করে গ্রামের লোকদের মধ্যে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ওয়ারিশান সম্পত্তি ভাগ বন্টনের বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে নিজেরা অন্যায়ভাবে দখলের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। রোকনুজ্জামান নামক অভিযুক্ত এই ব্যক্তি ইতোমধ্যে উক্ত এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সোহেল হাজারীর সঙ্গে দেখা করে এবং ওয়ারিশান সম্পত্তি বন্টন বিষয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যকে বিভ্রান্ত করে। পরবর্তীতে জনাব সোহেল হাজারী প্রকৃত সত্য সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর রোকনুজ্জামানকে ধমকসহ এইরূপ ধৃষ্টতা যাতে ভবিষ্যতে আর না দেখাতে পারে সেজন্য কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেন ।

তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, ওয়ারিশান সম্পত্তি বন্টনের বিষয়ে মরহুম বছির উদ্দিনের তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে অনেক আগে থেকেই নিজ নিজ অংশের স্থান নিজেদের মধ্যে মৌখিকভাবে মীমাংসিত ছিল। সেই মোতাবেক তার দ্বিতীয় পুত্র মরহুম আব্দুল হালিম পৈত্রিক ভিটার পশ্চিম পার্শ্বে একটি দালান কোঠা নির্মাণ করেন ।সেসময় মরহুম বছির উদ্দিনের জ্যেষ্ঠ পুত্র মোঃ শাহজাহান (মুক্তিযোদ্ধা) এর নির্ধারিত স্থান ছিল ভিটার উত্তর পার্শ্বে তার ঘর সহ । যেহেতু পৈত্রিক ভিটার ঠিক পূর্বপার্শ্বে তার নিজ নামে ক্রয় করা সম্পত্তি রয়েছে এবং তার স্ত্রী ও পিতা-মাতার কবরও রয়েছে উক্ত জায়গা সংলগ্ন। অন্যদিকে মোঃ আব্দুল করিমের নিজস্ব কেনা সম্পত্তি রয়েছে পৈতৃক ভিটার দক্ষিণ পার্শ্বে । সঙ্গত কারণেই তার ঘর দেবার কথা ছিল পৈতৃক ভিটার দক্ষিণ পার্শ্বে।

দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি মীমাংসিত অবস্থাতেই ছিল। যে কারণে মরহুম আব্দুল হালিম জীবিত থাকা অবস্থায় এসব বিষয় নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব কারো মধ্যেই ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আব্দুল করিম মীমাংসিত বিষয়টির খেলাফ করার দরুন এবং কাউকে না জানিয়ে বড়ভাইয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে বাড়ি করার অপচেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আবদুল করিম জোরপূর্বক তার বড় ভাই মোঃ শাহজাহান সাহেবের জন্য নির্ধারিত স্থানটি দখল করে নিজেই সেখানে ঘর তুলতে চেস্টা করেছে এবং এখনও চেস্টা তদবির করে যাচ্ছে । সেই সাথে তার বড় ভাই এবং তার সন্তানদেরকে মানসিকভাবে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচার করে যাচ্ছে । এইরকম অন্যায়, জুলুম এবং হিংসাত্মক আচরণ করার জন্য সে তার ছেলে রোকনুজ্জামানসহ আবদুল হালিমের ছেলে রাসেল রনিসহ তার ছোটবোনের জামাই মো:শাজাহান তালুকদার ও আরও কয়েকজনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল।উল্লেখ্য আবদুল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্ণীতির অভিযোগও রয়েছে।

ঘটনার খলনায়ক মোঃ আব্দুল করিম তার বড় ভাই মোঃ শাজাহান সাহেবের জন্য নির্ধারিত স্থান দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করার জন্য তার আরেক ভাই মরহুম আব্দুল হালিমের জ্যেষ্ঠ পুত্র তাইফুর রহমান ওরফে রাসেল গংদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে । অথচ তিনি মোঃ শাহজাহান সাহেবের সাথে হিংসাত্মক মনোভাব ত্যাগ করে কোন শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসেননি। তারই প্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ২৬ শে এপ্রিল কালিহাতি পৌরসভার মেয়র অফিসে মোঃ শাহজাহান বাদী হয়ে মোঃ আব্দুল করিম এবং তাইফুর রহমান রাসেল গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২২৬) ।

আরও জানা যায় তারা মেয়রকেও মামলা পরিচালনার ব্যাপারে নানাভাবে প্রভাবিত করে তাদের মনগড়া সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে । রাসেল গংদের সঙ্গে নিয়ে আ: করিম এবং তার পুত্র রোকনুজ্জামান পারিবারিক একটি আলোচনার বৈঠকে আগ্রাসী হয়ে তারা একসাথে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাজাহান সাহেব এবং তার সন্তানদের উপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করে এবং তাদের জীবননাশের হুমকি দেয়।

উল্লেখ্য যে, মো: আব্দুল করিম সাবেক বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডে কাজ করা সময় চাকুরিচ্যুত হয়েছিলেন । সে জমির দালালি করে এবং নিরীহ মানুষদের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় । বিভিন্ন ধরনের জাল কাগজপত্র ও দলিলাদি তৈরি করে সে তার বড় ভাইয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার আরেকটি বাড়ি দখলেরও চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ধারণা করা হচ্ছে যে, তারই আক্রোশে সে তার ছেলে রোকনুজ্জামানের কর্মস্থলের সুত্রে অর্থাৎ শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে তারা এই অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করছে । উল্লেখ্য যে, রোকনুজ্জামান শেখ পরিবারের সদস্যদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অবসিডিয়ান বাংলাদেশ লিমিটেড, বনানী, ঢাকা অফিসের একজন কর্মচারী।

(তথ্য সূত্র: স্থানীয় প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)