জাগো লাইভ২৪.কম | আপডেট: 2:34 PM, May 19, 2023
Home» » দেশের ৮ বিভাগের অনেক স্থানে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা
দেশের ৮ বিভাগের অনেক স্থানে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা
চলতি মাসের শুরুতে থেকে প্রচণ্ড গরম থাকলেও ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল পার হওয়ার দুদিন পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বৃষ্টি।
গত দুদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবারও দেশের আট বিভাগের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে শিলাবৃষ্টি। এদিকে ঝড়ের আশঙ্কায় ৫ জেলার নদীবন্দরে নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের অন্য এলাকায় পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। নাজমুল হক বলেন, আরও ২-৩ দিন বৃষ্টির প্রবণতা এমনই থাকতে পারে। তার পরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসবে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। তাবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. খলিলুর রহমান জানান, গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনায় সর্বোচ্চ ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময় ঢাকায় ৫০ মিলিমিটার, তাড়াশে ৪৯, টাঙ্গাইলে ৪৬, বগুড়ায় ৪৪, শ্রীমঙ্গলে ৪৩, হাতিয়ায় ৪২, সন্দ্বীপে ৪০, রামগতিতে ৩৯, চুয়াডাঙ্গায় ৩৫, ময়মনসিংহে ৩১, ভোলায় ২৩, রাজশাহীতে ২০, সিলেট ও খুলনায় ১৯, রংপুরে ১৮, চট্টগ্রামে ১২ ও বরিশালে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।