জাগো লাইভ২৪.কম | আপডেট: 11:57 PM, August 21, 2023
Home» » ওয়াকফ্ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ: খুরশীদ আলম দোভাষের স্থলে ওয়াহেদুল আলম দোভাষ কোনো?
ওয়াকফ্ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ: খুরশীদ আলম দোভাষের স্থলে ওয়াহেদুল আলম দোভাষ কোনো?
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসক চট্রগ্রামের কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গীবাজার এলাকার খান বাহাদুর আব্দুল হক দোভাষ ওয়াকফ্ আওলাদ – ০২, এস্টেটের মোতয়াল্লী হিসেবে এডভোকেট খুরশীদ আলম দোভাষ এর জায়গায় ওয়াহেদুল আলম দোভাষকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারী এডভোকেট খুরশীদ আলম দোভাষ বলেন, অজানা কারণে ওয়াকফ্ প্রশাসন ওয়াকফনামার শর্ত ভংগ করিয়া ওয়াহেদুল আলম দোভাষকে মোতোয়াল্লী হিসেবে নিযুক্ত করেছে যাহা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত । অবিলম্বে ওয়াক্ফ প্রশাসকের কাছে আমি এই বিষয়ে ন্যায়সংগত সমাধান চেয়ে বিগত ১৭/০৭/২০২৩ তারিখে আবেদন করেছি।
এদিকে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের সূত্রে জানা যায়, ভূলবশত ওয়াকফ প্রশাসক এডভোকেট খুরশীদ আলম দোভাষ এর জায়গায় প্রাক্তন মোতোয়াল্লী বদিউল আলমের দোভাষ এর পুত্র ওয়াহেদুল আলম দোভাষকে মতোয়াল্লী নিযুক্ত করে। ওয়াহেদুল আলম দোভাষকে নিযুক্তের পর বিষয়টি ওয়াক্ফ প্রশাসকের কাছে তথ্য আসে যে বিষয়টি ভুল হয়েছে।
তথ্য মতে, উক্ত ওয়াকফ্ এস্টেট এর বর্তমান মতোয়াল্লি হিসাবে একমাত্র ন্যায্ ও বৈধ দাবিদার জনাব এডভোকেট খুরশীদ আলম দোভাষ। তার দাদা খান বাহাদুর আব্দুল হক দোভাষ এই ওয়াকফ্ নামার ওয়াকফকারী। ঐ ওয়াকফ দলিলে আব্দুল হক তার একমাত্র পুত্র আব্দুল নবী দোভাষকে মতোয়াল্লি হিসাবে নিয়োজিত করেন। সেই দলিলে ১ নম্বর দফায় উল্লেখ আছে, আব্দুল নবীর পরবর্তীতে আব্দুল নবীর পুত্র সন্তানদের মধ্যে পর্যায় ক্রমে মতোয়াল্লী হবেন। সেই অনুসারে আব্দুল নবী দোভাষের মৃত্যুর পরে তার ৫ পুত্রের মধ্যে ১ম পুত্র শারিরীক ভাবে অক্ষম থাকায় ২য় পুত্র জানে আলম দোভাষ মোতয়াল্লী হন।জানে আলমের মৃত্যুর পরে ৩য় পুত্র বদিউল আলম দোভাষ মোতয়াল্লী হন। বদিউল আলমের মৃত্যুর আগেই তার ৪র্থ পুত্র শামসুল আলম দোভাষ মারা যাওয়ায়, বদিউল আলমের মৃত্যুর পরে, ওয়াকফ নামার ১ নং শর্ত অনুযায়ী মোতোয়ালি হওয়ার একমাত্র দাবিদার, আবদুল নবী দোভাষের এক মাত্র জীবিত পুত্র, ৫ম পুত্র এডভোকেট এম খুরশিদ আলম দোভাষ।
এই বিষয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসক (অতি: সচিব) ড.খান মোঃ নুরুল আমিন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আপাতত আমার জানা নেই। অনেক সময় ভুল মানুষের জায়গায় অন্য মানুষ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট অফিসে বিষয়টি জানালে আশা করি এর সমাধান হয়ে যাবে।
জানা যায়,উক্ত ওয়াকফ্ এস্টেট এর প্রাক্তন মোতোয়াল্লী বদিউল আলম দোভাষ বিগত ১৯/০৭/২০২২ তারিখে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পরে খুরশিদ আলম দোভাষ বিগত ০৩/০৮/২০২২ তারিখে বাংলাদেশ ওয়াকফ্ প্রশাসক বরাবর ওয়াকফ্ নামার ১ নং শর্ত অনুযায়ী তাকে মোতোয়াল্লী নিয়োগের জন্য আবেদন করেন।তবে বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ওয়াকফ্ প্রশাসনের উদাশিনতা উপলব্ধি করে তিনি পরবর্তীতে বিগত ০৩/০৫/২০২৩ তারিখে পুনরায় আবেদন করেন।
অতপর খুরশিদ আলম দোভাষ জানতে পারেন ইতমধ্যে বিগত ২০/০২/২০২৩ তারিখে, ওয়াকফ্ প্রশাসন তাকে সম্পূর্ণ অজ্ঞাতে ও অন্ধকারে রাখিয়া, ওয়াকফ্ আওলাদনামা- ২ এর শর্ত ভংগ করিয়া, সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ওয়াহেদুল আলম দোভাষ কে অফিসিয়াল মোতোয়াল্লী নিয়োগ করেন।
এই বিষয় জানতে পারিয়া খুরশিদ আলম, বিগত ১৭/০৭/২০২৩ তারিখে ওয়াকফ্ প্রশাসক বরাবর অবৈধ অফিসিয়াল মোতোয়াল্লী নিয়োগ বাতিল পূর্বক ওয়াকফ্ নামার ১ নং শর্ত অনুযায়ী তাকে মোতোয়াল্লী নিয়োগ এর জন্য পুনরায় আবেদন করেন। কিন্তু এই আবেদন এর প্রেক্ষিতে ওয়াক প্রশাসকের পক্ষ হতে কালখ্যাপন ছাড়া অদ্যাবধি কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় নাই।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, একজনের স্থলে আরেকজনের নাম হতেই পারি তবে মূল ব্যক্তি যদি থাকে বা তিনি যদি আমাদের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কোনো কর্তৃপক্ষকে জানায় তাহলে আশাকরি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
জাগো লাইভ/কেটিআই