Home»   » কৃষি উদ্যোক্তাদের আর্থিক সক্ষমতা ভেঙে পড়েছে: দেবপ্রিয়

কৃষি উদ্যোক্তাদের আর্থিক সক্ষমতা ভেঙে পড়েছে: দেবপ্রিয়

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশ এখন প্রায় অবরুদ্ধ। কৃষক তার ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছে। করোনার কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। গণপরিবহন, রেল যোগাযোগ ও নৌপরিবহন বন্ধ থাকায় কৃষিজাত পণ্য পরিবহন বাধার সম্মুখিন বলে জানিয়েছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম’র আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

 

কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারছে না। আর এ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।

 

শনিবার (১৮ এপ্রিল) এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম আয়োজিত ‘করোনা মোকাবিলায় বেসরকাবী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের তৎপরতার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সরকারের প্রতি সুপারিশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এই কথা বলেন।

 

ব্রিফিংয়ে বিভিন্নভাবে সংযুক্ত হন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্য ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

 

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, সমস্ত পরিবহন ব্যবস্থা এই মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের যেই সমস্ত সরবরাহ কাঠামো ছিল তা ভেঙে পড়েছে। মাঠ থেকে ভোক্তার কাছে আসা এবং ভোক্তার থেকে এই চাহিদাটা ঠিকমত মাঠ পর্যায়ে যাওয়া। এটা ভেঙে পড়ার কারণে মাঠ পর্যায়ে উৎপাদকরা, বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে যারা রয়েছে তারা খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।

 

সিপিডি’র ফেলো বলেন, আমাদের কৃষি উদ্যোক্তারা যারা আছেন তাদের আর্থিক সক্ষমতা ক্রমান্বয়ে ভেঙে পড়েছে। তারাও একধরনের ঋণের জালে আটকে পড়ছেন। আমাদের প্রস্তাব, সরকারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুততার সাথে মাঠ পর্যায়ে এই কৃষি উদ্যোক্তার কাছ থেকে ফসল সংগ্রহে আনার ব্যবস্থা করা।

 

তিনি বলেন, বিশেষ করে ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য একটি পরিবহন চ্যানেল ব্যবস্থা করা দরকার। সেটা সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে। সম্ভব হলে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে এগুলোকে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় সরবরাহের জন্য আমরা প্রস্তাব করছি।

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, কৃষক ফসল ফলাচ্ছে সেগুলো যেন পচে না যায়। বিশেষ করে টমেটো, শশাসহ বিভিন্ন রকমের সবজি, এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।