Home»   » করোনা ইস্যু: জীবাণুমুক্ত করতে রাস্তায় কাউন্সিলর মানিক

করোনা ইস্যু: জীবাণুমুক্ত করতে রাস্তায় কাউন্সিলর মানিক

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে জলকামান (পানির ট্যাংক) দিয়ে এ এলাকার রাস্তা পরিষ্কার করছেন।

আজ রাতে সরেজমিনে আজিমপুর ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

এসময় মানিক অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। হাসিবুর রহমান মানিক এই এলাকার মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকার জন্য সতর্ক থাকতে বলেন। সেই সাথে এলাকার মানুষের মাঝে তিনি বেশকিছু মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেন।

মানিকের কাছ থেকে ত্রাণ নেওয়া রিক্সা চালক আতিক বলেন, আমি একটি ভাড়া নিয়ে আজিমপুরে এসেছিলাম আমার বাসা এ এলাকায়। তিনি বলেন, যাওয়ার পথে মানিক ভাই আমাকে মাস্ক প্লাস্টিকের হাতমোজা ও চাউল ডাল তেলসহ বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেন। এটা পেয়ে আমার খুব ভাল লাগলো। এজন্য মানিক ভাইকে ধন্যবাদ।

আরেক রিক্সা চালক জব্বার আলী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে রিক্সা চালাতে পারি না। তাছাড়া কি একটা অসুখের কারণে মানুষ এখন রিক্সায় উঠতে চায় না। সারাদিন যা রোজগার করছি শুধু রিক্সা ভাড়াটা কোন ভাবেই উঠছে একটি মাক্স ও বাজার-সদাই পেয়ে আমার খুব ভালো লাগলো। মনে হলো সারাদিনের রোজগার ঘরে নিয়ে যেতে পারলাম।

গোলাম কিবরিয়া নামের এক দিন মজুরি বলেন, মানিক ভাইয়ের কাছ থেকে আজকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে আমার খুব ভালো লাগলো। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন কাজ কাম করতে পারিনা আজ ঘরে কিছু বাজার সদাই নিয়ে যেতে পারছি এজন্য মানিক ভাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ মানিক ভাইকে দেওয়ার তৌফিক দান করুক আরো।

শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাজধানীতে আমার মনে হয় এই প্রথম কোন কাউন্সিলর নিজে থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অতুলনীয়।

সাব্বির হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, মানিক ভাই হলো আমাদের এলাকার জনতার কাউন্সিলর। মানিক ভাই এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে। এলাকার মানুষ যাতে নিরাপদে থাকে, সেজন্য সে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ।

সেলিম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, মানিক হলো আমাদের এলাকার যোগ্য জনপ্রতিনিধি। সে সুখে দুখে সবসময় এলাকার মানুষের পাশে থাকে।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য মানিক ভাই যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঠিক একইভাবে রাজধানীতে যদি বিভিন্ন কাউন্সিলার কাজ করতো তাহলে করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

হাবিব হোসেন বলেন, মানিক ভাই দিনরাত আমাদের এলাকার উন্নয়নে কথা ভাবে। আমরাও তার কথা ভাবি। মানুষ জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর জনগণকে ভুলে যাই কিন্তু মানিক ভাইয়ের ক্ষেত্রে সেটি ব্যতিক্রম। এজন্য মানিক ভাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

আজ রাতে সরেজমিনে আজিমপুর ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এই এলাকার জনতার কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করছে। জনগণ বারবার এ এলাকার সেবা করার জন্য আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমিও সব সময় জনগণের কথা ভাবি। এজন্য দিন রাত্র নিজ দায়িত্বে কাজ করে যায়। আমার বিরুদ্ধে এজন্য অভিযোগ খুবি কম।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস নামের একটি ব্যাধি বিশ্ববাসীকে কাঁদাচ্ছে, সেই করোনা ভাইরাস থেকে আমার এলাকার মানুষ যাতে নিরাপদে থাকে সে জন্য জীবাণুমুক্ত রাখাতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

মানিক আরো বলেন, আমি জনগণকে কথা দিয়েছিলাম তাদের সেবা করবো জনগণ ভোটের মাধ্যমে আমাকে এ সুযোগ দিয়েছে। আমিও জনগণের সেবা করতে পারছি এজন্য আমি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে রাখতে ও বিভিন্নভাবে সচেতন থাকতে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেছি। তাছাড়া করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য এলাকায় রিক্স ভ্যানে মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।

মানিক বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সবাই আগে তা পালন করার চেষ্টা করি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দোকানদারদের বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করছি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দ্রব্যের দাম বাড়লেও আজিমপুর এলাকায় তা স্থিতিশীল আছে।

তিনি আরো বলেন, এ এলাকার স্কুল- কলেজ, হসপিটাল, দোকানপাট সহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের হাত ধোয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যাতে মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে। মানিক বলেন, এ পর্যন্ত আমার এলাকায় ৭ থেকে ৮ জন প্রবাসীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি। তার কারণ হলো আমরা যদি সকলেই সচেতন থাকি তাহলে এই দুর্ভোগ কিছুটা হলেও মোকাবেলা করা সম্ভব।

 

জাগো লাইভ/কেবিসি/আই