Home»   » ঋণ গ্রহীতাদের বি‌শেষ ছাড় দিলো রূপালী ব্যাংক

ঋণ গ্রহীতাদের বি‌শেষ ছাড় দিলো রূপালী ব্যাংক

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঋণ গ্রহীতাদের বি‌শেষ ছাড় দি‌য়ে‌ছে রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংক।

 

চল‌তি বছ‌রের জানুয়া‌রি থে‌কে জুন পর্যন্ত ঋ‌ণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। অর্থাৎ খেলা‌পি হ‌বেন না। পাশাপা‌শি রূপালী ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাদের গৃহ নির্মাণ ঋণের কিস্তি জুন পর্যন্ত না কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হ‌য়ে‌ছে।

 

বুধবার (২২ এপ্রিল) রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি ক‌রে ব্যাং‌কের মহাব্যবস্থাপকদের কাছে পাঠিয়েছে।

 

নি‌র্দেশনায় বলা হ‌য়ে‌ছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের কারণে চলমান বিরূপ প্রভাবের ফলে অনেক ঋণগ্রহীতা সময় মত ঋণের অর্থ পরিশোধ কর‌তে পার‌বে না ব‌লে ধারণা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ গত ১৯ মার্চ এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে। এ প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চলতি মূলধন ঋণ নবায়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন হ‌য়ে‌ছে যে, চল‌তি বছ‌রের ০১ জানুয়ারি থেকে ঋণের পরিমাণ যাচ্ছিল আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত মেয়াদোউত্তীর্ণ হলেও ঋণের শ্রে‌ণিমান তদাপেক্ষা বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না।

 

সিসি ও চলতি মূলধন ঋণ হিসেবে ০১ জানুয়ারির শ্রেণি মান অনুযায়ী স্বাভাবিক লেনদেন অব্যাহত থাকবে। এসব নির্দেশনা শুধুমাত্র সি‌সি ও চলতি মূলধন ঋ‌ণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়েছে রূপালী ব্যাংক।

 

এছাড়া অপর এক নির্দেশনায় ব্যক্তিগত ও পেশাগত ঋণ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণের জন্য দেওয়া ঋণ এপ্রিল মে ও জুন মাসের কিস্তি কর্তন না কর‌তে বলা হয়েছে।

 

স্থগিত করা এসব ঋ‌ণের কিস্তি ঋণ হিসাবের মেয়াদপূর্তির পরবর্তী তিন মাসে তিনটি অতিরিক্ত কিস্তির মাধ্যমে আদায় করা হবে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে রূপালী ব্যাংক।